আযানের দোয়া

মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে

حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ وَحَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

হাইয়্যা ‘আলাস্‌সালাহ, হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’

নামাযের দিকে আসো, কল্যানের দিকে আসো

…এর সময় বলবে,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। [১]

[১] বুখারী, ১/১৫২, নং ৬১১, ৬১৩; মুসলিম, ১/২৮৮, নং ৩৮৩।


 

মুয়াযযিন তাশাহহুদ (তথা আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার…) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা এ যিক্‌রটি বলব,

وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبَّاً، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِينَاً

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব্ব, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূল এবং ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। [২]

ওয়া আনা আশ্‌হাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু, রাদীতু বিল্লা-হি রব্‌বান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান, ওয়া বিলইসলা-মি দীনান

 [২] মুসলিম ৩/১৫৫৭, নং ১৯৬৭; বায়হাকী ৯/২৮৭, দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকী থেকে, ৯/২৮৭, ইত্যাদি। তবে সর্বশেষ বাক্যটি ইমাম মুসলিমের বর্ণনা থেকে অর্থ হিসেবে গৃহীত।


 

মুয়াযযিনের কথার জবাব দেওয়া শেষ করার পর বলবে,

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ، [إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ]

হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। (নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।) [৩]

আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, (ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ)

[৩] আহমাদ ৩/৪১৯, নং ১৫৪৬১, সহীহ সনদে। আর ইবনুস সুন্নী, নং ৬৩৭; আরনাঊত তার ত্বাহাভীয়ার তাখরীজে এর সনদকে বিশুদ্ধ বলেছেন, পৃ.১৩৩। আরও দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২৭।


 

আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের জন্য দো‘আ করবে। কেননা ঐ সময়ের দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না। [৪]

 [৪] বুখারী, ১/১৫২, নং ৬১১, ৬১৩; মুসলিম, ১/২৮৮, নং ৩৮৩। মুসলিম ১/২৯০, নং ৩৮৬। ইবন খুযাইমা, ১/২২০। মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪। তিরমিযী, নং ৩৫৯৪; আবূ দাউদ, নং ৫২৫; আহমাদ, নং ১২২০০; আরও দেখুন, ইরওয়াউল